৯ হাজার পিচ ইয়াবা ও ১০০ গ্রাম হিরোইন উদ্ধারের মামলায় এনায়েতুল্লাহ নামে এক আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। গত মঙ্গলবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের (ভার্চুয়াল) বিচারক আল আসাদ মোহাম্মদ আসিফুজ্জামান ওই আসামির আসামির জামিনের আদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার আদালত সূত্রে তা জানা গেছে।
আসামি এনায়েতুল্লাহর পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন। তবে শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আসামি পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, মামলাটিতে এ আসামিসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ১১ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর আগে একই বছরের ১৯ মে আসামিদের আটক করা হয়। এ আসামির বিরুদ্ধে ইয়াবা ও হেরোইন রাখার অভিযোগ রয়েছে।
এজাহারে হেরোইন উদ্ধারের পরিমাণ আনুমানিক বলে উল্লেখ আছে। চার্জশিটে আসামির বিরুদ্ধে পূর্বে কোনো অপরাধের বিবরণ নাই। মামলার অপর পাঁচ আসামি ইতিমধ্যে বিভিন্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
আসামি দুই বছরের অধিক কারাগারে রয়েছেন। আইনজীবী উল্লেখ করেছেন, আসামি অসুস্থ হয়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছেন। দীর্ঘ হাজতবাস ও মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মামলার পরবর্তী বিচার অনিশ্চিত বিবেচনায় আসামির জামিন মঞ্জুর করা হলো।
জামিনের বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আসামির জামিন শুনানি হবে এটা আমরা জানি না। আর আমাদের জানানোও হয়নি। জানলে আপত্তি করতাম। ৯ হাজার পিচ ইয়াবা ও ১০০ গ্রাম হেরোইন এ আসামির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিমাণটা বেশি। এটা হাইকোর্টও অনেক সময় বিবেচনায় নেয় না। জজ সাহেব কোন বিবেচনায় জামিন দিলেন পেপার না দেখে বলতে পারছি না।’
এদিকে, আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জুন একই আদালতে জামিন আবেদন করেন এই আসামি। ওইদিন আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করলেও পাঁচদিন পর তা মঞ্জুর করলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৯ মে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই বছরের ১১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটভূক্ত অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সজীব মিয়া, সাধন রাজবংশী, আজমল ব্যাপারি। বর্তমানে মামলাটি যুক্তিতর্ক শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।
জানা যায়, চার্জশিটভূক্ত এই ছয় আসামির মধ্যে এনায়েতুল্লাহর কাছ থেকেই ৯ হাজার পিচ ইয়াবা ও ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। অপর পাঁচ আসামির কাছ থেকে ১ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।