দুই সিনিয়র তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ভর করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। এই দুই সিনিয়রের ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পর আজ (৭ আগস্ট) একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে বাংলাদেশকে। এই ম্যাচে টাইগারদের হয়ে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটার রিয়াদ ও তামিম।
দুই ক্রিকেটারই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। তবে ব্যাট হাতে আজ দারুণ সফল ছিলেন রিয়াদ। একপ্রান্তে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস খেলে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছেন এই ক্রিকেটার। ৬৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করা রিয়াদ শেষ ১৫ বলে নিয়েছেন আরও ৩০ রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে টাইগার দুই ওপেনার দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। আনামুল হক বিজয় ধীরস্থির ইনিংস খেললেও তামিম ছিলেন আগ্রাসী। প্রথম ১০ ওভারে ৬২ রান তোলে। এরমধ্যে অধিনায়ক তামিম ৪৪ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন। যদিও পরের ওভারে তানাকা চিভাঙ্গার বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৫০ রানের মাথায় আউট হয়ে ফেরেন।
তামিম ফেরার পরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন বিজয়ও। নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্রেইট ড্রাইভে বোলারের হাত ছুঁয়ে স্টাম্প ভেঙে গেলে ৩ চারে ২০ রানে আউট হন বিজয়। দ্রুত ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫০ রান। মুশফিকুর রহিম ২৫ রানে ফিরলে ভাঙে জুটিটি।
লিটনের চোটে সুযোগ পাওয়া শান্ত এদিন ৩৮ রান করে আউট হয়ে ফেরেন। দেড়শ রানের আগে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এরপর বড় স্কোর এনে দিতে সহায়তা করেন আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ জুটি। দুইজনে পঞ্চম উইকেটে ৮১ রান যোগ করেন। আফিফ ৪১ রানে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। ২২৯ রানে আফিফকে হারানোর পর একাই লড়ে যান মাহমুদউল্লাহ।
এরপর টাইগারদের পক্ষে মিরাজ ১৫ রান নেওয়া ছাড়া টেল এন্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানরা খুব একটা সাহায্য করতে পারেনি। রিয়াদ শেষদিকে ৩টি করে চার ও ছয়ে ৮৪ বলে ৮০ রান করে দলকে ২৯০ রানের সংগ্রহ এনে দেন।
জিম্বাবুইয়ানদের পক্ষে সিকান্দার রাজা ৫৬ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। এছাড়াও ওয়েসলি মাধবেরে ৪০ রানে ২ উইকেট শিকার করেন।