কয়েক সপ্তাহব্যাপী চলা বিক্ষোভের মধ্যেই শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে (৭৩)। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মাধ্যমে গোতাবায়া রাজাপাকসের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
এর আগে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে গিয়ে পদত্যাগ করেন গোতাবায়া। তবে রনিল বিক্রমাসিংহেকেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। এরই মধ্যে তাকে হটাতেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার শ্রীলংকার পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য রনিল বিক্রমাসিংহেকেই দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ১৩৪ এমপির ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুল্লাস আলাহাপেরুমা পান ৮২ ভোট। আর বামপন্থি ন্যাশনাল পিপলস ফোর্সের অনুরা কুমারা দিসানায়েক পেয়েছেন মাত্র ৩ ভোট।
এদিকে, জনসমর্থন ছাড়াই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী কলম্বোর ‘গোতাগোগামা’ সাইটে পুনরায় জড়ো হন। সেখানে জড়ো হওয়া জনতার উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ছয়বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিলকে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান বিক্ষোভকারীরা। তারা রা বরং দেশটির চলমান অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকটের জন্য রনিলও আংশিক দায়ী বলে অভিযোগ করেন।
এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করতে প্রভাবশালী রাজাপাকসে পরিবারের সঙ্গে রনিল আঁতাত করেছে বলেও অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
এর আগে গত মাসে আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করলে রনিলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এরপর চলতি জুলাইয়ে বিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া রাজাপাকসে নিজে দেশ থেকে পালিয়ে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন রনিল।