তদবির করে নয় বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এই পদে বসিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোভিড-১৯ মহামারিতে সার্জনদের ভূমিকা শীর্ষক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মহাপরিচালকের বক্তব্যের আগে সেমিনারে অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আসাদুল ইসলামকে নিয়ে সমালোচনা হয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য ডা. এম এ আজিজ তার বক্তব্যে বলেন, ‘করোনার শুরুর দিকে কমিটির বৈঠকে করোনা প্রতিরোধে অনেক প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তখনকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সচিব সেসব আমলে নেননি। যদিও তারা এখানে এখন আর নেই, তারা থাকলে ভালো হতো।’
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেই গত ৪ জুন মন্ত্রণালয়ের সচিব আসাদুল ইসলামকে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব পদে বদলি করা হয় আর অধিদপ্তরের তখনকার মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ গত ২১ জুলাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। পরে গত ২৩ জুলাই অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রশাসন চিকিৎসকদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে, সেই বিষয়ে আমাদেরকেই সজাগ থাকতে হবে, আমাদেরকেই সেটা প্রতিহত করতে হবে। আর একটি কথা বলতে চাই, আমি এই পদে ( মহাপরিচালক) কোনো রকমের তদবির করে আসি নাই। এই পদে প্রধানমন্ত্রী নিজে নির্বাচন করে আমাকে বসিয়েছেন, আমি এখানে থাকতে আসি নাই। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আমি সেটাই করছি। আর সে কাজ করেই আমি আমার নির্দিষ্ট সময়ে চলে যাবো।’
মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য এসেছি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যতক্ষণ বলবেন ততক্ষণ থাকবো, যখন চলে যেতে বলবেন, তখন চলে যাবো। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছি। আমাদের প্রস্তুতিও আছে। আশা করছি, ওই সময়ে (আসন্ন শীত) যদি সত্যিই সেকেন্ড ওয়েভ আসে তাহলে সুষ্ঠুভাবে মোকাবিলা করতে পারবো।’