বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে এসব দাবি জানান সভাপতি নূরুল হক নূর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ দলটির নেতারা।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গণঅধিকার পরিষদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছে, সেগুলো হচ্ছে— ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
সব জেলায় নতুন পুলিশ সুপার ও থানায় নতুন ওসি নিয়োগ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে দলটি। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশের বিভাগীয় ডিআইজিসহ দলবাজ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করে দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে
চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি ও নির্বিঘ্নে-নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করাসহ দ্রুত সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রতি থানায় ১০ জন করে সেনা সদস্য নিয়োগ করা জরুরি বলে মনে করে গণঅধিকার পরিষদ। তাদের দাবি, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশনসহ পুলিশের সর্বস্তরের ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত করে জনবান্ধন পুলিশি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যে কোনও অসদাচরণ, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে এক মাসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করারও দাবি জানানো হয়েছে।
দলটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়াসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।