যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার সম্ভাব্য আঁতাত নিয়ে তদন্তে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইকে মিথ্যা বলার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তিসহ ১৫ জনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে করা এ ক্ষমায় তার নির্বাচনী প্রচার শিবিরের সাবেক উপদেষ্টা জর্জ পাপাডোপোলাস ও অ্যাটর্নি অ্যালেক্স ভ্যান ডার জোয়ানের পাশাপাশি সাবেক দুই রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাও আছেন। খবর বিবিসির।
রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট একই সঙ্গে ২০০৭ সালে ইরাকে গণহত্যায় জড়িত চার মার্কিন সেনার সাজাও মাফ করে দিয়েছেন।
২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ট্রাম্প আরও অনেককে ক্ষমা করবেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিদায়ী প্রেসিডেন্টরা সাধারণত কার্যালয় ছাড়ার আগে কম গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত অনেককে ক্ষমা করেন।
জর্জ পাপাডোপোলাস ও অ্যালেক্স ভ্যান ডার জোয়ান এরই মধ্যে তাদের সাজার বেশিরভাগ অংশই খেটে ফেলেছেন।
২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ আছে এমন দুই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করা নিয়ে এফবিআইকে মিথ্যা বলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন পাপাডোপোলাস।
তদন্ত কর্মকর্তাদের তিনি বলেছিলেন, ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল ট্রাম্পের হয়ে কাজ করার আগে। আসলে তিনি ট্রাম্পের দলে কাজ শুরুর পরই ওই দেখা করেছিলেন।
স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের রাশিয়া তদন্তে গ্রেফতার হওয়া ট্রাম্পের সাবেক সহযোগীদের মধ্যে পাপাডোপোলাসই ছিলেন প্রথম।
প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পাওয়ার পর তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। মুলারের তদন্তে মিথ্যা বলার কথা স্বীকার করেছিলেন ভ্যান ডার জোয়ানও।
ট্রাম্প তার মেয়াদকালে বারবারই মুলারের তদন্তকে ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে অভিহিত করেছেন। মুলারের ওই তদন্তের পর দেয়া প্রতিবেদনে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের আঁতাতের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা।
ট্রাম্পের ক্ষমা মুলারের তদন্ত দলের করা ভুল সংশোধনে সহযোগিতা করবে বলে এক বিবৃতিতে বলেছে হোয়াইট হাউস।
রিপাবলিকান প্রেসিডোন্ট এদিন সাজাপ্রাপ্ত সাবেক দুই আইনপ্রণেতা ক্রিস কলিন্স ও ডানকান হান্টারকেও ক্ষমা করে দিয়েছেন। গত মাসে ট্রাম্প সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকেও তার ক্ষমতাবলে ক্ষমা করেছিলেন।