‘ভুয়া কাবিন’ দেখিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে বিয়ে, মারপিট

পিরোজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত : শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২০
  • ৭০৩ প্রিয় পাঠক,সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন এবং মধুমতির সাথেই থাকুন

পিরোজপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৬) তুলে নিয়ে আটকে রেখে শারীরিক সম্পর্ক ও ভুয়া কাবিন দেখিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে আবুল হাসান (২০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। মেয়েটিকে তিনি মারপিটও করেছেন। আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মাদরাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আবুল হাসান ও তার পরিবারের ৬ জনকে অভিযুক্ত করে শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত বাবুল নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের মুনিরাবাদ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আইয়ুব আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, আবুল হাসান ওই ছাত্রীর দূর সম্পর্কের আত্মীয়। হাসান বিভিন্ন সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। কিন্তু গত ২৩ জুলাই ওই মাদ্রাসাছাত্রী তার মামা বাড়ি উপজেলার দেউলবাড়ি ইউনিয়নের তুরকখালী থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় তুরকখালী ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে আবুল হাসান ও তার ভগ্নিপতি মেহেদী তাকে (মাদরাসা ছাত্রী) মোটর সাইকেলে করে উজিরপুর উপজেলার হারতাপাড়া গ্রামে ভগ্নীপতির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে এক মাস আটকে রেখে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা হয়।

পরে ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ভুয়া কাবিন নামা করে বিয়ে করে। কিন্তু গত ২৪ আগস্ট আবুল হাসান ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে সেখানে ফেলে পালিয়ে আসে। পরে গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ওই মাদ্রাসা ছাত্রী আবুল হাসানের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর অধিকারের দাবি করলে আবুল হাসানের বাবা আইয়ুব আলী, মা মারুফা বেগম, ছোট বোন আফিয়া খানম, চাচী বিলকিচ বেগম ও দাদী রহিমোন বেগম তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, ওই মাদরাসা ছাত্রীর মায়ের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

মধুমতি টেলিভিশনের অন্যান্য খবর