নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা হত্যাচেষ্টা মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষীর জাহিদকে সাতদিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। এছাড়াও আরেক আসামি ইরফানের ব্যক্তিগত সহকারী দীপুর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ থেকে ইরফানকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
মামলার দুই নম্বর আসামি হাজী সেলিমপুত্র ইরফানের ব্যক্তিগত সহকারী এ বি সিদ্দিক দীপুকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর জালে ধরা পড়ল এজাহারভুক্ত সব আসামি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানাচ্ছে, মঙ্গলবার ভোররাতে দীপুকে টাঙ্গাইলে তার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নৌ কর্মকর্তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি মামলায় ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদ ও ব্যক্তিগত সহকারী দীপুকে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, চাপমুক্ত হয়ে মামলা তদন্ত করবে পুলিশ।
এদিকে, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, ইরফান সেলিমকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর কলাবাগান সিগনালে এমপি হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন ডিএসসিসি ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম। এ ঘটনায় সে রাতেই মামলা দায়েরের পর সোমবার পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, বিদেশী মদও অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব। ইরফানকে ১৮ মাস ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ছয় মাস কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।