তবুও বেড়েছে ইরানের তেল রপ্তানি

অন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত : শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৭০ প্রিয় পাঠক,সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন এবং মধুমতির সাথেই থাকুন

ইরানের তেল রপ্তানিসহ বিভিন্ন খাতের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। বিশেষ করে, ইরানি অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি তেল রপ্তানি ঠেকানোর এমন কোনো চেষ্টা নেই, যা করেনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। কিন্তু এতকিছুর পরও দেশটির তেল রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরও বেড়েছে ইরানের তেল রপ্তানি

ট্যাংকার ট্র্যাকার্স এবং আন্তর্জাতিক তেল ট্যাংকার চলাচল পর্যবেক্ষণ করে এমন তিনটি সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান গেল আগস্ট মাসের চেয়ে চলতি সেপ্টেম্বরে দ্বিগুণ তেল রপ্তানি করেছে।

প্রসঙ্গত, ইরানের সঙ্গে করা বিশ্বের ছয় জাতি-গোষ্ঠীর করা পরমাণু সমঝোতা থেকে ২০১৮ সালে একতরফাভাবে বেরিয়ে যায় ট্রাম্প প্রশাসন। এর পর থেকেই তেহরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে ওয়াশিংটন। ফলে ইরানের তেল রপ্তানি ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল। তবে নানা কৌশল অবলম্বন করে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে ইরান।

ইরানি তেলের জাহাজ

পার্সটুডের প্রতিবেদন বলছে, সম্প্রতি ইরানের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সামির মাদানি দাবি করেন, তাদের তেল রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। ইরান প্রতিদিন নিজেদের তেল রপ্তানি প্রায় ১৫ লাখ ব্যারেলে উন্নীত করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

রয়টার্সের প্রতিবেদন জানিয়েছে, ইরান যে পরিমাণ তেল রপ্তানি করে, তার অর্ধেক কোথায় যায় তা স্পষ্ট নয়। কারণ ইরানের এসব তেল বহন করে বিদেশি তেল ট্যাংকার। এমনকি গভীর সমুদ্রেই এসব তেল এক জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে স্থানান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, ইরান সাধারণত তাদের তেল উত্তোলন ও রপ্তানির পরিমাণ ঘোষণা করে না।

এদিকে, ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান নামদার জাঙ্গানে সম্প্রতি দেশটির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, তেল মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কেউ পরিসংখ্যান আশা করবেন না। কারণ তার কথা শুধু দেশবাসী শোনে না, বরং শত্রুদেরও কানে পৌঁছে যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

মধুমতি টেলিভিশনের অন্যান্য খবর