জামালপুরের বকশীগঞ্জে খাস জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীর বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে এলে রানী হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খান এ হত্যা মামলার রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, গত ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি বকশীগঞ্জের গাজীর পাড়া গ্রামের নিজ বসতঘর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীর বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে এলে রানীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের বাবা খাস জমিতে ঘর তুলে বসবাস করায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যা করেছে এমন অভিযোগে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের আগস্ট মাসে পুলিশ তদন্ত করে চার্জশীট দিলে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে।
রায়ে বকশীগঞ্জের গাজীর পাড়া গ্রামের সাদা মিয়ার ছেলে মানিক মিয়াকে (৩৫) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। তাছাড়া এই মামলায় অপর ৩ আসামি আব্দুর রাজ্জাক, মোকছেদুল ইসলাম ও মোমেনা বেগমের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাসের আদেশ দেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নির্মল কান্তি ভদ্র, আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক।