করোনা রোগী শনাক্ত করবে কুকুর

প্রতিবেদকের নাম :
  • প্রকাশিত : রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৮৪ প্রিয় পাঠক,সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন এবং মধুমতির সাথেই থাকুন

আফ্রিকার দেশ নামিবিয়া কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করার কাজে প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দেহ থেকে বিশেষ এক ধরনের গন্ধ বের

আফ্রিকার দেশ নামিবিয়া কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করার কাজে প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দেহ থেকে বিশেষ এক ধরনের গন্ধ বের হয়; যেটি জার্মান শেপার্ড বা বিগল্ জাতের কুকুর সহজেই শনাক্ত করতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

নামিবিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউনিভার্সিটি অব নামিবিয়ার (ইউনাম) পশু-চিকিৎসা বিভাগ কুকুর ব্যবহার করে করোনা রোগী খুঁজে বের করার এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

দেশটির জাতীয় দৈনিক দ্যা নামিবিয়ান এই খবর দিয়েছে। ইউনামের রোগতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক কনরাড ব্রেইন বলেন, প্রকল্পটি মাস দুয়েক আগে শুরু হয়েছে। এর লক্ষ্য করোনা রোগী শনাক্তে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের উপায় খুঁজে বরে করা।

তিনি বলেন, ফিনল্যান্ড এবং ফ্রান্সের সহযোগিতায় আমরা এসব কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছি। কোনও মানুষ কোভিড পজিটিভ বা নেগেটিভ এই কুকুর দক্ষতার সাথে তা শনাক্ত করতে পারে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। প্রশিক্ষণ শেষ হলেই আমরা বিমান ও নৌবন্দরে এই কুকুরগুলোকে আমরা মোতায়েন করার পরিকল্পনা করছি।

একই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে মধ্য আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া সফল হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ফিনল্যান্ড এবং ফ্রান্সও একই লক্ষ্যে কাজ করছে। ব্রেইন বলছেন, নামিবিয়ায় করোনা রোগী শনাক্ত করতে এ ধরনের উদ্যোগ পুরো আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে প্রথম। তবে অস্ত্র, বিস্ফোরক কিংবা মাদক শনাক্তের কাজে বহুদিন ধরেই কুকুর ব্যবহারের চল রয়েছে।

ইউনামের এই পাইলট প্রকল্পের সাথে জড়িত রয়েছেন একদল চিকিৎসক, পশু চিকিৎসক, কুকুর প্রশিক্ষক এবং আইনজীবী। ইউনামের কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের ডিন অ্যান মারাইস বলছেন, কুকুর প্রজাতির বিগলস্ জাতের কুকুরের ঘ্রাণশক্তি অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় এরাই সহজে করোনা রোগী শনাক্ত করতে পারে।

তিনি বলেন, শনাক্ত করার কাজে এদের কোন ভুল একেবারে নেই বললেই চলে। তবে এরা ভাইরাস শনাক্ত করে না। রোগী দেহের করোনা ভাইরাসের কারণে যে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন হয় এরা খুব সহজেই তা চিহ্নিত করতে পারে।

এই উদ্যোগ কার্যকর হওয়ার পর পর্যটন শিল্পেও এর ব্যবহার হতে পারে বলে তিনি জানান। বিশেষভাবে টুরিস্টদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিহ্নিত করার কাজে।

ইউনামের পশু-চিকিৎসা বিভাগের প্রভাষক আলমা রাথ বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে এসব কুকুরের সাফল্যের হার শতকরা ৯৫%। তিনি বলছেন, কোন ব্যক্তির দেহে করোনার সংক্রমণ যদি পরীক্ষায় ধরা নাও পড়ে, তাহলেও এসব কুকুর ঠিকই শনাক্ত করতে পারে।

ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের শনাক্ত করার কাজে কুকুরের ব্যবহার চালু আছে। করোনা শনাক্ত করার জন্য কুকুরগুলোর জন্য প্রতি সপ্তাহে তিনবার প্রশিক্ষণের ব্যবহার রয়েছে।

প্রথম ধাপে কুকুরগুলোকে আদেশ-নির্দেশ মেনে চলার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এর পর তাদের করোনা রোগী শনাক্ত করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

দ্যা কনভারসেশন নামে শিক্ষক-গবেষকদের একটি ওয়েবসাইট বলা হচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চিলি, ব্রাজিল এবং বেলজিয়ামে করোনা রোগী শনাক্ত করার লক্ষ্যে কুকুরে প্রশিক্ষণ চলছে।

আরব আমিরাতের বিমানবন্দরগুলোতে ইতোমধ্যেই প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করে করোনার সংক্রমণ মোকাবেলায় সফল এসেছে বলে ওয়েবসাইটটি দাবি করেছে।

হয়; যেটি জার্মান শেপার্ড বা বিগল্ জাতের কুকুর সহজেই শনাক্ত করতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

নামিবিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউনিভার্সিটি অব নামিবিয়ার (ইউনাম) পশু-চিকিৎসা বিভাগ কুকুর ব্যবহার করে করোনা রোগী খুঁজে বের করার এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

দেশটির জাতীয় দৈনিক দ্যা নামিবিয়ান এই খবর দিয়েছে। ইউনামের রোগতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক কনরাড ব্রেইন বলেন, প্রকল্পটি মাস দুয়েক আগে শুরু হয়েছে। এর লক্ষ্য করোনা রোগী শনাক্তে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের উপায় খুঁজে বরে করা।

তিনি বলেন, ফিনল্যান্ড এবং ফ্রান্সের সহযোগিতায় আমরা এসব কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছি। কোনও মানুষ কোভিড পজিটিভ বা নেগেটিভ এই কুকুর দক্ষতার সাথে তা শনাক্ত করতে পারে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। প্রশিক্ষণ শেষ হলেই আমরা বিমান ও নৌবন্দরে এই কুকুরগুলোকে আমরা মোতায়েন করার পরিকল্পনা করছি।

একই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে মধ্য আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া সফল হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ফিনল্যান্ড এবং ফ্রান্সও একই লক্ষ্যে কাজ করছে। ব্রেইন বলছেন, নামিবিয়ায় করোনা রোগী শনাক্ত করতে এ ধরনের উদ্যোগ পুরো আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে প্রথম। তবে অস্ত্র, বিস্ফোরক কিংবা মাদক শনাক্তের কাজে বহুদিন ধরেই কুকুর ব্যবহারের চল রয়েছে।

ইউনামের এই পাইলট প্রকল্পের সাথে জড়িত রয়েছেন একদল চিকিৎসক, পশু চিকিৎসক, কুকুর প্রশিক্ষক এবং আইনজীবী। ইউনামের কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের ডিন অ্যান মারাইস বলছেন, কুকুর প্রজাতির বিগলস্ জাতের কুকুরের ঘ্রাণশক্তি অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় এরাই সহজে করোনা রোগী শনাক্ত করতে পারে।

তিনি বলেন, শনাক্ত করার কাজে এদের কোন ভুল একেবারে নেই বললেই চলে। তবে এরা ভাইরাস শনাক্ত করে না। রোগী দেহের করোনা ভাইরাসের কারণে যে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন হয় এরা খুব সহজেই তা চিহ্নিত করতে পারে।

এই উদ্যোগ কার্যকর হওয়ার পর পর্যটন শিল্পেও এর ব্যবহার হতে পারে বলে তিনি জানান। বিশেষভাবে টুরিস্টদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিহ্নিত করার কাজে।

ইউনামের পশু-চিকিৎসা বিভাগের প্রভাষক আলমা রাথ বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে এসব কুকুরের সাফল্যের হার শতকরা ৯৫%। তিনি বলছেন, কোন ব্যক্তির দেহে করোনার সংক্রমণ যদি পরীক্ষায় ধরা নাও পড়ে, তাহলেও এসব কুকুর ঠিকই শনাক্ত করতে পারে।

ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের শনাক্ত করার কাজে কুকুরের ব্যবহার চালু আছে। করোনা শনাক্ত করার জন্য কুকুরগুলোর জন্য প্রতি সপ্তাহে তিনবার প্রশিক্ষণের ব্যবহার রয়েছে।

প্রথম ধাপে কুকুরগুলোকে আদেশ-নির্দেশ মেনে চলার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এর পর তাদের করোনা রোগী শনাক্ত করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

দ্যা কনভারসেশন নামে শিক্ষক-গবেষকদের একটি ওয়েবসাইট বলা হচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চিলি, ব্রাজিল এবং বেলজিয়ামে করোনা রোগী শনাক্ত করার লক্ষ্যে কুকুরে প্রশিক্ষণ চলছে।

আরব আমিরাতের বিমানবন্দরগুলোতে ইতোমধ্যেই প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করে করোনার সংক্রমণ মোকাবেলায় সফল এসেছে বলে ওয়েবসাইটটি দাবি করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

মধুমতি টেলিভিশনের অন্যান্য খবর